আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমাদের পোস্টটি সাজানো হয়েছে ভাব সম্প্রসারণ লিখার সুন্দর সুন্দর নিয়ম নিয়ে। আপনি কি কিভাবে ভাব সম্প্রসারণ লিখতে হবে এটা নিয়ে চিন্তিত? কিভাবে ভাব সম্প্রসারণ লিখলে আপনার লেখাটা অনেক পারফেক্ট হবে এটা ভাবছেন? আপনি কি ভাব সম্প্রসারণ লিখে স্যারকে সন্তুষ্ট করে ভালো মার্কস পেতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন।
আর এই পোস্টটি আপনার উপকারী হতে পারে। কেননা আমাদের আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে ভাব সম্প্রসারনের মাধ্যমে। এখান থেকে যদি আপনি ভাব সম্প্রসারণের নিয়ম শিখতে চান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন। আশা করি এখান থেকে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ভাব সম্প্রসারণ এর নিয়ম পেয়ে যাবেন।
আপনারা যারা শিক্ষার উপর বিভিন্ন তথ্য খুজতেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি তারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এখানে শিক্ষার উপর সমসাময়িক তথ্য প্রচার করা হয়ে থাকে। আমরা প্রতিদিনই কোন না কোন বিষয়ের উপর আলোচনা করে থাকি। আজ আমরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণ অংশের আরো একটি ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব। আজকে যে ভাব সম্প্রসারণ চিনি আলোচনা করব সেটি অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ। আজকের ভাব-সম্প্রসারণটি নিম্নে আলোচনা করা হল:
ভাবসম্প্রসারণ তালিকা
- ভাবসম্প্রসারণ: শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করে শির, লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির
- ভাবসম্প্রসারণ: পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না
- ভাবসম্প্রসারণ: শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড
- ভাবসম্প্রসারণ: ভোগে সুখ নাই, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ
- ভাবসম্প্রসারণ: সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ / সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে
- ভাবসম্প্রসারণ: প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না
- ভাবসম্প্রসারণ: আলস্য এক ভয়ানক ব্যাধি
- ভাবসম্প্রসারণ: জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর
- ভাবসম্প্রসারণ: বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
- ভাব সম্প্রসারণ: উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই
- ভাবসম্প্রসারণ: এ জগতে হায়, সে বেশি চায় আছে যার ভূরি ভুরি / রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি
- ভাব সম্প্রসারণ: ভালোমন্দ, সুখ দুঃখ অন্ধকার আলো, মনে হয়, সব নিয়ে এ ধরণী ভাল
- ভাবসম্প্রসারণ: দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ
- ভাবসম্প্রসারণ: অসির চেয়ে মসি বড় / অসি অপেক্ষা মসি অধিকতর শক্তিমান
- ভাবসম্প্রসারণ: যে জাতি জীবন হারা অচল অসার / পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার
- ভাবসম্প্রসারণ: ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল
- ভাবসম্প্রসারণ: অর্থই অনর্থের মূল Orthoi Onorther Mul
- ভাব সম্প্রসারণ: নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস
আরো এড করা হবে…..
শিক্ষাক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সাবজেক্ট হলো বাংলা ব্যাকরণ। আর বাংলা ব্যাকরণেরই একটি বিশেষ টপিক হচ্ছে ভাব সম্প্রসারণ। কিন্তু দেখা যায় যে অনেকেই এই ভাব সম্প্রসারণ লিখতে পারদর্শী হয় না। আবার ভাব সম্প্রসারণ লেখে ভালো নম্বরও পায় না। তাই যারা ভাব সম্প্রসারণে অনেক ভালো নম্বর পেতে চান, আবার অনেক ভালো মাধ্যমে এই নাম্বারটা অর্জন করতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্টটির ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে।
এখান থেকে আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে খুবই কম সময়ের মধ্যে ভাব সম্প্রসারণ লিখে দারুন নম্বর তোলা যায়। আবার অনেকে দেখা যায় যে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ভাব সম্প্রসারণ মুখস্ত করে কিন্তু নির্ধারিত মুখস্ত বিষয়গুলোর মধ্যে যদি ভাব সম্প্রসারণ কমন না পড়ে তাহলে ঘাবড়ে যায়। অনেকেই আবার অনেকে লিখতেও পারেনা।
ভাব সম্প্রসারণ আসলে মুখস্ত করার কোন বিষয় না। ভাব সম্প্রসারণ বোঝার বিষয়, ভাব সম্প্রসারণ্যের মূল বিষয়টা আপনি বুঝতে পারলে অন্য আশায় মুখস্ত ছাড়াই বেশ লিখতে পারবেন ভাব সম্প্রসারণ। তাই যারা মুখস্ত ঝামেলা ছাড়াই ভাব সম্প্রসারণ লেখে ফুল নম্বর পেতে চান তারা আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করি এখান থেকে ভাব সম্প্রসারণ না মুখস্ত করে লেখার পারফেক্ট নিয়ম আপনি পেয়ে যাবেন।
একটি ভাব সম্প্রসারণ সুন্দরভাবে খাতায় উপস্থাপন করতে হলে প্রথমে যেটা দরকার সেটা হলো সেই ভাব সম্প্রসারনের মূল বক্তব্যটা বুঝা। কারণ ভাব সম্প্রসারণটা কি বলতে চাচ্ছে মূল বিষয়টা কি এটা বুঝতে না পারলে আপনি কখনো সে ভাব সম্প্রসারণটা লিখে ভালো নম্বর অর্জন করতে পারবেন না। তাই আপনাকে সর্বপ্রথম ভাব সম্প্রসারণ এর বিষয়টি বুঝতে হবে। আর সাধারণত প্যারা প্যারা করে লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যায় তাই আপনি লাইন বাই লাইন লিখার চেয়ে প্যারা প্যারা করে লিখতে পারেন দেখবেন লিখা অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে আর কম সময়ে পৃষ্ঠা ভরে গেছে।
সুন্দর নম্বর পাওয়ার জন্য ভাব সম্প্রসারণকে অবশ্যই সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে হবে। এর জন্য আপনি একটি ভাব সম্প্রসারণ কে তিনটি অংশ ভাগ করে লিখতে পারেন। যেমনঃ প্রথমত মূলভাব, দ্বিতীয়তঃ সম্প্রসারিত ভাব বা ভাব সম্প্রসারণ, তৃতীয়ত মন্তব্য। আবার অনেকে দেখা যায় যে পয়েন্ট আকারে না লিখে পুরো পেজ ভর্তি করে লিখেন কিন্তু পয়েন্ট করে দিলে নম্বরটা ভালো পাওয়া যায়। আর সেই পয়েন্টগুলো হতে হবে প্যারা প্যারা করে। এর ফলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার লেখাটাও শেষ হয়ে যাবে আর দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
যে কোন বিষয় লিখে সবচেয়ে ভালো নাম্বার পাওয়ার প্রথম ও কার্যকরী উপায় হচ্ছে উপস্থাপন করা। যদি কোন বিষয়ে আপনি যতই ভালো করে পড়েন না কেন, খাতা যদি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে না পারেন তবে ভালো নম্বর পাওয়া কখনো সম্ভব না। আর আপনার লেখার মাধ্যমে অবশ্যই খাতাটিকে স্মার্ট করে তুলতে হবে। তাহলে আপনি সুন্দর আর বেশি নম্বর পাবেন। আর স্যারও খুশি হয়ে আপনাকে বেশি নম্বর দিবে, আশা করি বুঝতে পেরেছেন।