ভাবসম্প্রসারণ: আলস্য এক ভয়ানক ব্যাধি Alosso Ek Voyanok Bedhi
আপনারা যারা শিক্ষার উপর বিভিন্ন তথ্য খুজতেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি তারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এখানে শিক্ষার উপর সমসাময়িক তথ্য প্রচার করা হয়ে থাকে। আমরা প্রতিদিনই কোন না কোন বিষয়ের উপর আলোচনা করে থাকি। আজ আমরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণ অংশের আরো একটি ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব। আজকে যে ভাব সম্প্রসারণ চিনি আলোচনা করব সেটি অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ। আজকের ভাব-সম্প্রসারণটি নিম্নে আলোচনা করা হল:
ভাবসম্প্রসারণ তালিকা
- ভাবসম্প্রসারণ: শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করে শির, লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলেম শিশির
- ভাবসম্প্রসারণ: পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না
- ভাবসম্প্রসারণ: শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড
- ভাবসম্প্রসারণ: ভোগে সুখ নাই, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ
- ভাবসম্প্রসারণ: সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ / সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে
- ভাবসম্প্রসারণ: প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয়, কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না
মূলভাব: অলস ব্যক্তি জীবনে কখনো উন্নতি করতে পারে না। জীবনে উন্নতি ও সাফল্যের মূলে রয়েছে পরিশ্রম। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতি তত বেশি উন্নত। তাইতো বলা হয়ে থাকে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
সম্প্রসারিত ভাব: হাসি- কান্না, সুখ-দুঃখের ন্যায় রোগব্যাধিও মানুষের জীবনের একটা অংশ। কিছু কিছু রোগ ব্যাধি সম্পর্কে মানুষকে সদা সতর্ক থাকতে হয়। কারণ এসব ভয়ঙ্কর রোগ ব্যাধি মানুষের কর্ম ক্ষমতা নষ্ট করে। মানুষকে ফেলে দেয় দুশ্চিন্তায় আবার কখনও কখনও কখনও নিশ্চিন্ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
অলসতা এমনই এক ভয়ানক ব্যাধি। কারণ এটি ভয়ানক ব্যাধি নয় মানুষের জীবনকে অসাড় করে তোলে। সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা অলস ও কর্মবিমুখ। এই অলস মানুষগুলো সমাজ ও নিজের উন্নয়নের জন্য কোন ভূমিকাই পালন করতে পারে না। মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য বহুৎ জিনিসের প্রয়োজন। পরিশ্রম ব্যতীত ওইগুলো অর্জন করা যায় না। অলস মানুষ জীবনে কোনদিনই উন্নতি লাভ করে সুখের মুখ দেখতে পায় না। অলস মানুষের জীবনে ব্যর্থতা নেমে আসে এবং পরিণামে সে দুঃখপূর্ণ জীবন যাপন করে। ব্যাধিগ্রস্থ মানুষের মতো দিনদিন সে পঙ্গু হয়ে পড়ে।
অলস পঙ্গু মানুষ দেশ ও জাতির কোন মঙ্গল সাধন করতেই পারে না বরং নিত্য আত্মীয়-স্বজন ও পিতা-মাতার তিরস্কার ও গঞ্জনা তাকে সহ্য করতে হয়। কথায় আছে, “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের লীলাভূমি”। ব্যাধিগ্রস্থ ব্যক্তি যেমন সমাজে রোগ বিস্তার করে সমাজকে ব্যাধিগ্রস্থ করে তেমনি অলস নানা কুচিন্তা ও কুকাজ দ্বারা সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও অশান্তি ডেকে আনে।
মন্তব্য: উপরের বিস্তারিত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, জীবনকে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শ্রম ব্যতীত অন্য কোনো সহজ পথ নেই। পরিশ্রমের মাধ্যমে এই জীবনে সফলতা আসবে। সুখ লাভের জন্য যেমন কষ্ট করতে হয় ঠিক তদ্রুপ জীবনে যত পরিশ্রম করা যাবে পরবর্তী জীবন তত উন্নত ভাবে বেঁচে থাকা যাবে। আমাদের নিজেদের স্বার্থে আলস্যে পরিহার করে কর্ম ও পরিশ্রমী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ সম্ভব।
আজকে আমরা উপরে যে ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করলাম, সেখানে আমরা সহজে বুঝতে পারছি যে অলস মানুষ জীবনে কখনোই উন্নতি করিতে পারেনা। কারণ অলস মানুষ কখনোই সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। শিক্ষার্থী বন্ধুরা আপনারা সহজেই আজকের ভাব-সম্প্রসারণ টি বুঝতে পেরেছেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে পেজে আপনাদের ভিজিট করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
যেহেতু দীর্ঘদিন করোনাকালীন সময়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় আপনারাও ঠিকমতো ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেননি, পড়াশোনার দিক দিয়ে আপনারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন। তাই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষাবিষয়ক তথ্য গুলো আপডেট করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এতে আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।