ভাব সম্প্রসারণ: উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই

One Time School

ভাব সম্প্রসারণ: উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই Udoyer Pothe Shuni Kar Bani, Voi Nai Ore Voi Nai Nissheshe Pran Je Koribe Dan Khoi Nai Tar Khoi Nai

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আমাদের এই ওয়েবসাইট পেজে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। আমরা আজ আরও একটি নতুন ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এই ভাব সম্প্রসারণ টি বিশেষ করে ৬ষ্ট, ৭ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির জন্য খুবই উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ। আশা করছি আপনাদের পাঠ্যপুস্তক এর সহায়ক হিসেবে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই ভাব সম্প্রসারণ টি অনেক কাজে লাগবে। আজকে আমরা আপনাদের জন্য যে ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না। চলুন শিক্ষার্থীবৃন্দ আমরা এই ভাব সম্প্রসারণ এর বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করি।

আপনারা যারা শিক্ষার উপর বিভিন্ন তথ্য খুজতেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি তারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এখানে শিক্ষার উপর সমসাময়িক তথ্য প্রচার করা হয়ে থাকে। আমরা প্রতিদিনই কোন না কোন বিষয়ের উপর আলোচনা করে থাকি। আজ আমরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণ অংশের আরো একটি ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব। আজকে যে ভাব সম্প্রসারণ চিনি আলোচনা করব সেটি অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ। আজকের ভাব-সম্প্রসারণটি নিম্নে আলোচনা করা হল:

ভাবসম্প্রসারণ তালিকা

আজকে আমরা বাংলা ব্যাকরণ এর যে ভাব সম্প্রসারণ আলোচনা করব সেটি সপ্তম, অষ্টম, নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ। আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে চেষ্টা করেছি আজকে যে ভাব সম্প্রসারণ টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি সহজ এবং সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করার যাতে করে শিক্ষার্থীরা সহজেই অনুবাদ করতে পারে এবং তাদের নির্দিষ্ট বাংলা ব্যাকরণ এর পাশাপাশি এই ভাব সম্প্রসারণ অনেক কাজে লাগবে।

ভাব সম্প্রসারণ:
উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
ভয় নাই ওরে ভয় নাই
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান,
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।

মূলভাব: সীমাবদ্ধ জীবনের অবসান ঘটিয়ে মানুষকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়। কারণ মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। পেছনে পড়ে থাকে তার কর্মফল। পার্থিব জীবনে যারা সৎকর্ম করে দেশ ও দশের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করে তাদেরকে মানুষ মরে যাওয়ার পরও ভোলে না। অপরের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারলেই জীবন সুখময় ও আনন্দময় হয়ে ওঠে। এমন ব্যক্তি মানবসমাজের ধন্য বলে বিবেচিত।

সম্প্রসারিত ভাব: মানুষ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর মৃত্যুবরণ করে। মানুষের মৃত্যুর পর স্বভাবতই তাকে আর কেউ মনে রাখে না। জন্ম ও মৃত্যুর এই মাঝামাঝি সময়ে মানুষ যে সময়টুকু পৃথিবীতে অবস্থান করে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ের কর্মফলই তার পরিচয়কে সুস্পষ্ট করে।

মানবজীবন শুধু ব্যক্তি স্বার্থের জন্য নয় তার সাথে জড়িয়ে আছে সার্বজনীন স্বার্থ। ব্যক্তিস্বার্থের দিকটি ক্ষুদ্র, সীমিত, গন্ডিবদ্ধ বলে তা কখনো দেশ ও দশের উপকারে আসে না। তাই ব্যক্তি স্বার্থের জন্য মানুষ যা করে তার নিরর্থক নিষ্ফল। যে ব্যাক্তি দেশ ও দশের জন্য কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে মৃত্যুর পরও তাঁর সৃষ্ট সোনার ফসল টিকে থাকে। তাই সবার স্বার্থে আত্মনিয়োগ করতে পারলে জীবন হবে সার্থক ও সফল।

জীবনে মানুষ নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়। এই প্রতিবন্ধকতাকে রুখতে তাদের নানা আয়োজন, উদ্যোগ চোখে পড়ে। লক্ষ্যকে পূরণ করতে গিয়ে কেউ বেছে নেয় অন্যায়ের পথ। ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়ে তারা নিতান্ত আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। জীবনাবসানকালে পৃথিবীর বুকে তারা ঘৃণার পাত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়। জীবনে ও মরণে উভয় কালেই তারা ঘৃণিত।

অন্যদিকে যারা সৎ কাজ করে, মানবকল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেয় তারা স্থান পায় গৌরবময় ইতিহাসের পাতায়। যুগে যুগে যেসকল মানুষ আত্মত্যাগ করে গেছেন তারা হয়েছেন মহামানব। এসব মহামানব সকল ভয়-ভীতি, বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে মৃত্যুকে জয় করেছেন। তাঁদের দেখানো পথ সকল অন্ধকারকে দূরে ঠেলে দিয়েছে আলোর সন্ধান। মানব মুক্তির জন্য তারা দ্ব্যর্থহীন চিত্তে কাজ করে গেছেন।

চে গুয়েভারা, নেলসন ম্যান্ডেলা, আব্রাহাম লিংকন প্রমুখ ব্যক্তিগণের অবদান চিরদিন পৃথিবীর বুকে লেখা থাকবে তাঁদের আত্মত্যাগের জন্য। সংকট উত্তরণে এসব মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছিল, ভবিষ্যতেও ঘটবে। সমাজ দেশ ও জাতির কল্যাণে সামান্য একটু কাজই বদলে দিতে পারে জনসাধারণের সাধারণ জীবনপরিচয়। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে ভয়-ভীতিকে বিসর্জন দিয়ে দ্বিধাহীন চিত্তে যাঁরা নিঃশেষ জীবন দান করতে পারেন তারাই সভ্যতার অগ্রগামী পথিক।

মন্তব্য: জীবনে সফলতা অর্জনের মূল চাবিকাঠি হলো উত্তম পথটি নির্বাচন করা। মানবকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করাই হলো সেই উত্তম পথ। তাই আমাদের মানবকল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করা উচিত।

উপরে যে ভাব সম্প্রসারণটি নিয়ে আলোচনা করা হল আশা করছি শিক্ষার্থীদের অনেক উপকারে আসবে। কারন আপনাদের উপকারে আসলেই আমাদের কাজের সার্থকতা। সেজন্য আপনারা বেশি বেশি করে আমাদের এই ওয়েবসাইটে মতামত প্রদান করবেন যাতে আমাদের কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলে অবশ্যই আমরা সেটা শুধরে নিতে পারব।

Leave a Comment

error: Don't Copy This Content !!