আপনি কি চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম জানতে চাইছেন ? কিভাবে সিভি লিখতে হয় ? CV লেখার সহজ নিয়ম কি ? CV লেখার সঠিক নিয়ম কি এবং একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করার নিয়ম বলতে কি বুঝায় ? এই প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের দিতে চলেছি।
সিভি (CV) লেখার নিয়ম চাকরির জন্য তৈরি করুন আকর্ষণীয় সিভি
Biodata বা CV তখন অনেকটা প্রয়োজন হয় যখন নাকি আমরা কলেজ শেষ করে কোনো জব বা চাকরির খোঁজে বেরহই।
চাকরি যেটাই হোক, আপনার ওই চাকরি পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথমে নিজের একটা সিভি বানিয়ে প্রথমে সেটা কোম্পানিতে জমা দিতে হয়।
আর, এই একমাত্র সিভি দেখেই কোম্পানির লোকেরা আপনার বিষয়ে জানেন আর এটাও নির্ধারিত করেন যে আপনাকে ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য ডাকা হবে কি না।
তাই এক্ষেত্রে একটি আকর্ষিত এবং সোজা সিভি বানানোর অনেকটাই প্রয়োজন।
- অনার্স ৪র্থ বর্ষের আধুনিক রাজনৈতিক চিন্তাধারা সাজেশন ২০২৪
- অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরানীতিবিদ্যা সাজেশন ২০২৪
- অনার্স ৪র্থ বর্ষের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সাজেশন ২০২৪
- অনার্স ৪র্থ বর্ষের ব্যাংক ব্যবস্থাপনা সাজেশন ২০২৪
- ভাবসম্প্রসারণ: দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ
- অনার্স ৪র্থ বর্ষের নগর ভূগোল সাজেশন ২০২৪
- অনার্স ৪র্থ বর্ষের উন্নয়নের সমাজবিজ্ঞান সাজেশন ২০২৪
- অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিল্প অর্থনীতি সাজেশন ২০২৪
- একটি Paragraph দিয়ে লিখো সকল Paragraph
- এসএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম ২০২৪
এতে, সেটা পড়ে আপনার personal, qualification, experience ইত্যাদি details এর বিষয়ে অনেক ভালোকরে যেকেউ বুঝেযেতে পারে।
আর, তারজন্যই আপনার সিভি তৈরি করার নিয়ম এবং চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম অনেক ভালোকরে জেনেনিতে হবে।
চিন্তা করবেননা, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা মূলত চাকরির জন্যে একটি আকর্ষণীয় CV কিভাবে তৈরি করবেন সেটাই জানবেন।
বর্তমান সময়ে সিভি বা বায়োডাটা বানানোর জন্য আপনার কোনোখানে যাওয়ার কোনো দরকার নেই।
আপনি সহজে নিজের মোবাইলে বা কম্পিউটারে একটি CV বানিয়ে তাকে ব্যবহার করতে পারেন।
সিভি লেখার নিয়ম: CV তে কি কি লিখতে হয় ?
একটি CV তৈরি করার সেরকম কোনো বাঁধা ধরা নিয়ম নেই। কিন্তু হে, সিভিতে কি কি লিখবেন সেটা জেনে রাখা অনকেকটাই দরকারি।
কারণ, আপনার বানানো বায়োডাটা দেখেই আপনার বেপারে ইন্টারভিউয়াররা জানতে ও বুঝতে পারবেন।
যদি আপনি কোনো job interview র জন্য নিজের cv তৈরী করছেন, তাহলে তাতে যদি আপনার বিষয়ে দরকারি জিনিসগুলো লেখাই না থাকে তাহোলে কোম্পানির লোকেরা আপনার ওপর ইন্টারেস্টেড থাকবেননা।
তাতে হবে এইটা যে, যারা নিজের সিভি ভালোকরে নিজের সব দরকারি details সহ বানিয়েছেন,
তাদের ওপর কোম্পানির লোকেরা ইন্টারেস্টেড থাকবেন এবং তাদেরকেই job interview দেওয়ার জন্য ডাকবেন।
এখন প্রশ্ন হলো – একটি আকর্ষণীয় এবং জরুরি details-এর সাথে কিভাবে সিভি বানাতে হয় ?
নিজের সিভিতে এমন কি কি লিখবেন যে কোম্পানির লোকেরা আপনার প্রতি ইন্টারেস্টেড হন এবং আপনাকে personal interview তে ডাকবে।
সিভি তৈরি করার নিয়ম: নিজের সিভিতে কি কি লিখবেন ?
যেমন আমি ওপরে বলেছি, job এর জন্যে apply করার সময় আপনার biodata বা cv অনেকটা দরকারি ভূমিকা পালন করে থাকে।
এইটা অবশই মনে রাখবেন যাতে, আপনার সিভিতে সেই সব দরকারি ভাগগুলো থাকে যেগুলি কেবল একটা বা দুটো page এই আপনার বেপারে বেশি চে বেশি তথ্য দিতে পারবে।
এতে, আপনার পটভূমির বেপারে কোম্পানির লোকেরা অনেক সহজে জেনেনিতে পারবেন আর আপনাকে interview দেয়ার জন্য ডাকতে তাদের কোনোরকম অসুবিধা হবেনা।
চলুন, এখন আমরা সরাসরি এইটা জেনেনেই, সিভিতে কোনগুলি ভাগ থাকতে হয় বা কি কি লেখার প্রয়োজন।
১. Make simple resume / cv :
আমি প্রথমেই আপনাকে বলেদেই, কোনোদিন জটিল ভাবে সিভি বানাবেননা।
যতটা সম্ভব কম তথ্যের সাথে সহজ, সরল এবং সাধারণভাবে সিভি বানাবেন যাতে ইন্টারভিউয়াররা ঝট করে সবটা বুঝতে পারে।
এর কারণ অনেক পরিষ্কার, আপনার বানানো resume যদি জটিল হয়,
তাহলে সেটা পোড়ে কোম্পানির লোকেরা বা যে তাকে পড়ছে সে আপনার বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে জানতে পারবেনা।
এতে, যারা নিজেদের সিভি অতি সহজ এবং সরলভাবে বানিয়েছেন তাদেরকেই interview দেয়ার জন্য ডাকা হবে।
কারণ, সহজ এবং সরল সিভির দ্বারা জেকেও আপনার job profile, skills, education এবং qualification, interest ইত্যাদি জিনিসের বেপারে জেনেনিতে পারে।
২. Objective:
objective মানে উদ্দেশ্য, এই ভাগটি আপনি নিজের সিভির শুরুতেই রাখুন এবং নিজের উদ্দেশ্যর বিষয়ে লিখুন।
এখানে এইটা লিখুন যে যদি আপনাকে job টি দেয়া হয় তাহলে কিভাবে আপনি নিজের কাজ এবং দায়িত্ব পালন করবেন।
এখানে কেবল ৩ থেকে ৪ লাইনেই নিজের কোম্পানির, কাজের এবং কর্তব্যের জন্য কি কি করবেন তা লিখুন।
৩. Personal strength:
এখানে নিজের personal strength এর বেপারে লিখুন। মানে, কাজের দিকদিয়ে নিজের সামর্থ এবং ক্ষমতার বিষয়ে লিখুন।
উদাহরণ স্বরূপে: আপনার communication skills (যোগাযোগ দক্ষতা) ভালো কি না, কাজের সংশ্লিষ্ট চাপ নিতে পারবেন কি না এবং কতটুকু সময়নিষ্ঠ তা লিখুন।
এতে আপনার একটা positive প্রভাব এবং কাজে সক্রিয়তার ভাব নিয়োগকর্তার (employer) চোখে পর্বে।
৪. Work experience:
Work experience বা কর্মদক্ষতা একটি চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আপনার work experience দেখেই বেশিভাগ employer (নিয়োগকর্তারা) আপনাকে অন্যদের থেকে ওপরে রাখেন।
এবং এটাই মূল কার জন্যে আপনার সেই চাকরিটি পাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়।
যদি আপনি একজন fresher বা আগে কখনো কোনো চাকরি করেননি, তাহলে কথা আলাদা।
কিন্তু, যদি আগে কোনোখানে job করেছেন, তাহলে সেটা “work experience” এর ভাগে নিশ্চই লিখুন।
এতে, কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অনেক সহায়তা হবে।
৫. Education & qualification:
নিজের personal strength এবং work experience এর বিষয়ে লেখার পর, সবেরথেকে জরুরি ভাগ “আপনার শিখ্যাবিষয়ক এবং যোগ্যতা” বিষয়ে লিখুন।
যেকোনো কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার জন্য, আপনার education এবং qualification কতটা সেটা অনেকটাই নির্ভর করে।
তাই নিজের স্কুল থেকে শুরুকরে আপ্নে যা যা ডিগ্রী নিয়েছেন বা পড়েছেন, তার বিষয়ে সহজভাবে লিখুন।
উদাহরণ স্বরূপে,
কোন স্কুল বা কলেজ থেকে পড়েছেন, কি কি ডিগ্রী আপনার কাছে আছে এবং final exam গুলিতে কত কত marks পেয়েছে সেটা ভালো করে লিখেদেন।
৬. Personal information:
এই ভাগটিতে আপনি নিজের বিষয়ে ৩ থেকে ৪ লাইন লিখুন।
এখানে নিজের বেপারে যেমন, আপনার ঘর কোথায়, আপনি কি করে ভালো পান, আপনার hobby, interest কিসে এবং আপনার passion কি ?
এরকম কয়েকটি কথা নিজের বেপারে এই ভাগে লিখতে হবে।
এতে, ব্যক্তিগত ভাবে আপনি কিরকম ব্যক্তি সেটা নিয়োগকর্তারা বুঝতে পারবেন।
৭. Languages
আপনি কি কি ভাষা বলতে ও বুঝতে পারেন সেটাও আপনাকে ভালো করে লিখে জানিয়ে দিতে হবে।
যেমন, ধরুন আপনি বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, এই তিনটি ভাষা জানেন,
তাহলে Languages-এর ভাগে আপনাকে, “English”, “Hindi” এবং “Bengali” লিখে দিতে হবে।
তবে, আপনি যত গুলোইবা ভাষা জানেন সেগুলো সঠিক ভাবে লিখে দিতে পারেন।
৮. Final declaration:
“ফাইনাল ডিক্লারেশন (শেষ ঘোষণা)” এই ভাগটি সিভির একদম শেষ অংশে লিখতে হয়।
এখানে আপনার এইটা ঘোষণা কোরে লিখতে হবে যে,
ওপরে নিজের বিষয়ে যা যা personal, qualification & educational, work experience ইত্যাদির বিষয়ে লিখেছেন সেগুলি সব ঠিক এবং সঠিকতার দায়িত্ব আপনি নিয়েছেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুদ্রার নাম এবং সেগুলো মনে রাখার সহজ কৌশল
৯. Name & date:
এখন আপনার সিভি লেখা পুরোপুরি হয়েগেছে।
কিন্তু, নিজের সিভিটি আকর্ষণীয় এবং সঠিকভাবে বানানোর জন্য সিভির শেষে “Date “, “place” এবং “নিজের নামটি” এক এক করে লিখুন।
তারপর, নিজের নামের ওপরে একটা signature (স্বাক্ষর) করুন।
বাস, এখন আপনার চাকরির জন্য নিজে বানানো সিভি রেডি।
তো বন্ধুরা, আমি আপনাদের ওপরে সিভি তৈরি করার সময় কি কি লিখতে হয় সেই বিষয়ে বললাম।
ওপরে দেওয়া ভাগ গুলো দিয়ে যদি নিজের সিভি তৈরী করেন, তাহলে সেটা অবশই আপনার চাকরির জন্য অনেক লাভদায়ক হবে।
ওপরে দেওয়া ভাগগুলির দ্বারা নিয়োগকর্তারা আপনার ব্যক্তিগত, শিক্ষা, দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি জরুরি বিষয় গুলো সহজে জেনেনিতে পারবেন।
একটি আকর্ষণীয় সিভির নমুনা: CV Demo Image
কিভাবে সিভি বানাতে হয় । সিভি বানানোর পদ্ধতি
আমি আপনাদের আগেই বলেছি, cv বা biodata বানানোর জন্য আপনার কোনোখানে যাওয়ার দরকার নেই।
আপনি নিজের ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইল থেকেই একটি আকর্ষণীয় সিভি বানিয়ে নিতে পারবেন।
আজ টেকনোলজি এতো ফাস্ট এবং অ্যাডভান্সড হয়ে গেছে যে, সবকিছু ইন্টারনেট, মোবাইল এবং কম্পিউটার দ্বারা আমরা করেনিতে পারি।
আর তাই, আমি আপনাদের ঘরে বসে সিভি বানানোর ৩ টি সহজ এবং মজার idea দিবো।
১. Microsoft word এ সিভি বানান:
আপনার বা আপনার কোনো বন্ধুর ঘরে যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে,
তাহলে তাতে আপনি অনেক সহজ ভাবে একটি resume বা cv বানিয়ে নিতে পারবেন।
Computer বা ল্যাপটপটিতে Microsoft word বা যেকোনো text editor software থাকলেই তাতে resume বানিয়ে নেয়া যাবে।
আপনি নিজের সিভিটিতে সাধারণভাবে আমি ওপরে যা যা ভাগ লিখতে বলেছি সেগুলি লিখুন। সেগুলি লিখলেই আপনার সিভি তীরে হয়ে যাবে।
নিচে আমি আপনাকে Microsoft word বা যেকোনো টেক্সট এডিটরে সিভি কিভাবে লেখবেন তার নমুনা দিয়ে দিচ্ছি। আপ্নে এইটা দেখেও idea নিতে পারেন।
c.v লেখার নিয়ম :
RESUME
(নিজের ছবি লাগান)
Name – Rahul Das
Address – নিজের এড্রেস লিখুন
Contact No.- ৪০২৪৫৪৩**
Email ID – নিজের মেইল id দিন
(এবার নিচে, আমি ওপরে যেগুলি ভাগ লিখতে বলেছি সেগুলির বিষয়ে এক এক করে নিচে লিখুন।)
Objective:
কোম্পানির জন্য আপনি কি করতে পারবেন বা নিজের কাজ আপ্নে কিভাবে করবেন তার বিষয়ে লিখুন।
Personal Strength:
নিজের কাজের প্রতি কতোটা সক্রিয় এবং পসিটিভ এবং আপনার কি কি গুন্ আছে তা লিখুন।
এমন গুনের বিষয়ে লিখুন যেগুলি আপনার চাকরিতে কাজে লাগবে।
Work experience:
নিজের পুরোনো কাজের বেপারে লিখুন যদি ছিল তাহলে।
Educational Qualification:
নিজের পড়াশুনা এবং degree র বিষিয়ে লিখুন। কি কি ডিগ্রী নিয়েছেন বা কি কি পড়েছেন।
Personal information:
নিজের personal (ব্যক্তিগত) জীবনের কিছু জরুরি কথা লিখুন। এবেপারে আমি ওপরে বলেছি যে কি লেখা দরকার।
Final declaration:
এখানে final declaration অংশ লিখুন যেভাবে আমি ওপরে বলেছি।
Date: এখানে আজকের date লিখুন।
Place: জায়গার নাম লিখুন।
এখানে স্বাক্ষর করুন
(আপনার নাম লিখুন)
ব্যাস, উপরে দেবা সিভির নমুনা টি দেখে নিজের cv বানানোরপর সেটার প্রিন্ট বেরকরে hard copy নিয়ে নিতে পারবেন।
এছাড়া, বানানো সিভির ফাইলটি direct email এর মধ্যে নিয়ে নিতে বা যেকোনো মেইল আইডিতে পাঠাতে পারবেন।
আপনার ঘরে যদি computer বা laptop নেই, তাহলে যেকোনো computer এর দোকানে গিয়েও এরকম একটি CV বানাতে পারবেন।
২. Online ওয়েবসাইটে সিভি বানান
যদি আপনি cv লেখার সহজ নিয়ম খুঁজছেন এবং নিজে সিভি লেখার ঝামেলা নিতে চাননা, তাহলে কোনো কথা নেই।
কোনো কিছু না লিখে একদম সহজে একটি সিভি বানিয়ে নেওয়ার আরেকটি উপায় হলো “Online cv maker website“.
Online ইন্টারনেটে এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলিতে গিয়ে আপনি নিজের বায়োডাটা বানাতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি simple (সোজা) এবং stylish আর আকর্ষণীয় সিভি বানাতে পারবেন।
ওপরে আমি সিভিতে লেখার জরুরি যা যা ভাগগুলোর কথা বলেছি সেই সব গুলো আপনি যোগ করতে পারবেন।
আপনার কেবল এটাই করতে হবে যে, cv maker website গুলিতে গিয়ে যা যা ভাগ থাকবে তাতে নিজের সঠিক তথ্য (details) গুলো দিতে হবে।
আপনি সরাসরি নিজের ছবি আপলোড করে সিভিতে সেই ছবি লাগাতে পারবেন।
এবার details এবং ছবি দেবারপর আপনার তৈরী হওয়া সিভিটি আপনি নিজের computer বা mobile-এর মধ্যে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
আর তারপর, সেই সিভির ফাইল থেকে প্রিন্ট বের করেন বা তাকে directly e -mail এ পাঠিয়ে দিন।
কিছু online cv maker website এর নাম হলো :
Shreresume.com – এখানে আপ্নে অনেকরকমের style এবং format (বিন্যাস) এর resume বা cv বানাতে পারবেন একদম ফ্রি তে।
Resume.com – এটি আরেকটা অনলাইন ফ্রি সিভি মেকার ওয়েবসাইট যে আপনাকে advanced রকমের বায়োডাটা বানাতে সহায় করে।
Canva cv maker – এখানেও আপনি ফ্রি এবং advanced রকমের সিভি বানাতে পারবেন।
Cvmaker – এখানেও আপনি অনেক রকমের stylish নমুনা সহ নিজের বায়োডাটা বানিয়ে নিতে পারেন।
৩. বায়োডাটা বা সিভি বানানোর apps
যদি আপনার কোনো computer বা laptop নেই তাহলে চিন্তা করার কোনো কথা নেই।
কারণ, যদি আপনার কাছে একটি smartphone আছে তাহলে সেটা দিয়েই নিজের CV তৈরি করে নিতে পারবেন।
আপনি একদম সহজেই নিজের Android মোবাইল থেকে একটি আকর্ষিত সিভি বানাতে পারবেন apps ব্যবহার করে।
এরকম অনেক apps রয়েছে যেগুলি আপনাকে এরকম সিভি বানিয়ে দিবে জেনাকে কোনো কম্পিউটারের ক্যাফে বা এক্সপার্ট বানিয়ে দিতে পারবেনা।
ব্যাস, আপনার এতটুকুই করতে হবে যে app গুলি Google play store থেকে ডাউনলোড করে নিজের মোবাইল ইনস্টল করুন।
তারপর, cv maker app খুলে তারথেকে সিভির অনেকরকম design, style এবং নমুনা select করে সিভি বানিয়েনেন।
নিচে আমি আপনাকে ৫ টি best সিভি বানানোর apps এর নাম এবং লিংক দিয়েদিচ্ছি।
এগুলি আপ্নে নিজের মোবাইলে ইনস্টল করে সিভি বানিয়েনিন।
মোবাইলে সিভি বানানোর Android apps:
- Resume pdf maker app
- Resume Star – PDF Resume Build
- Make my resume app
- CV & Resume Creator
- cvDragon Resume App
এই apps গুলি আপনি ফ্রীতেই ডাউনলোড এবং ইনস্টল করে চাকরির জন্যে একটি আকর্ষণীয় সিভি তৈরি করে নিতে পারবেন।
একটি সিভিতে ছবি থাকাটা কি জরুরি ?
সাধারণত, একটি সিভিতে ছবি যোগ করার কোনো ধরণের প্রয়োজন নেই।
কারণ, আপনার ছবি সিভিতে যোগ করে কোনো রকমের লাভ বা সুবিধেয়ে আপনি পাবেননা।
তাই, অযথা জায়গা নষ্ট করা ছাড়া কোনো কিছুই হবেনা সিভিতে ছবি যোগ করে।
তবে, যদি আপনি এমন দেশে বা ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন যেখানে সিভিতে ছবি (photo) যোগ করাটা জরুরি,
তাহলে অবশই আপনাকে নিজের সিভির মধ্যে নিজের একটি স্পষ্ট ছবি যোগ করতে হবে।
CV লিখার সময় কোন ভুল গুলো করা চলবেনা ?
যদি আপনি চাকরির জন্য সিভি লিখছেন, তাহলে অবশই নিচে দেওয়া ভুল গুলো কখনোই করবেননা।
এই ভুল গুলো করলে, আপনার সিভি দেখেই আপনাকে রিজেক্ট করে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর বেড়ে যাবে।
- আপনার সিভি তে বানান ভুল এবং খারাপ ব্যাকরণ থাকা চলবেনা।
- ভুল তথ্য কখনোই দিবেননা। যারা আপনার ইন্টারভিউ নিবেন তারা আপনার সাথে কথা বলেই সবটা বুঝে যাবেন।
- CV তৈরি করার আগেই একটি পরিষ্কার এবং স্পষ্ট ফরম্যাট সিলেট করে নিতে হবে।
- আপনার CV এক থেকে দুই পেজ এর মধ্যে শেষ করতে হবে।
- সিভিতে অপ্রয়োজনীয় তথ্য যোগ করলে কাজ হবেনা।
- সঠিক contact information যোগ করুন।
FAQ
CV লেখার সহজ নিয়ম কি ?
যদি সহজে একটি আকর্ষণীয় সিভি লিখতে চান, তাহলে নিজের সিভিতে ৫টি পয়েন্ট / ভাগ যোগ করলেই কাজ হয়ে যাবে। সেগুলো হলো, Work experience, Qualification, Personal Strength, Date / Place এবং Declaration.
প্রথম কাজের জন্য কি আমার একটি সিভি দরকার ?
অবশই, প্রথম job application-এর জন্যে একটি CV তৈরি করাটা অনেক জরুরি। এর দ্বারা সম্ভাব্য নিয়োগকর্তারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করতে পারেন।
একটি সিভি কত পৃষ্ঠার হতে লাগে ?
একটি সিভি যতটা সাধারণ ভাবে লেখা হবে নিয়োগকর্তারা সেটা ততটাই স্পষ্ট ও সহজে পড়তে পারবেন। তাই, কেবল জরুরি বিষয় গুলো নিজের সিভিতে যোগ করবেন এবং ১ থেকে ২টি পেজের মধ্যে সিভি লিখা শেষ কোবেন।
Final words on topic,
তো বন্ধুরা, চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম কি এবং আকর্ষণীয় ভাবে কিভাবে সিভি (CV) লিখতে হয়,
এই বিষয়ে আপনারা সম্পূর্ণটা স্পষ্ট ভাবে বুঝতেই পেরেছেন হয়তো।
এছাড়া, কিভাবে সিভি বানাতে হয় তারজন্যেও আমি ওপরে ৩টি উপায় আপনাদের বলেছি।
ওপরে বলা cv লেখার সহজ নিয়ম গুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত অন্যান্য প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, সেটাও কমেন্ট করে জানাবেন।