কুইজ – ৪৬ তম বিসিএস ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত প্রশ্ন

ব্যাখ্যা : বিশ্ব শরণার্থী দিবস বলতে বোঝানো হয় প্রতি বছর জুন মাসের ২০ তারিখ, যা বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পালন করা হয়।

২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৫৫/৭৬ ভোটে অনুমোদিত হয় যে, ২০০১ সালে থেকে জুন মাসের ২০ তারিখ আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এ কারণে এ দিনটি বাছাই করা হয় যে, ১৯৫১ সালে অনুষ্ঠিত শরণার্থীদের অবস্থান নির্ণয় বিষয়ক একটি কনভেনশনের ৫০ বছর পূর্তি হয় ২০০১ সালে।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত কার্যালয় ( UNODC) হল জাতিসংঘের একটি কার্যালয় যা 1997 সালে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মাদককে একত্রিত করে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ প্রতিরোধের কার্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (UNDCP) এবং ভিয়েনায় জাতিসংঘের অফিসে অপরাধ প্রতিরোধ ও অপরাধ বিচার বিভাগ , 2002 সালে বর্তমান নাম গ্রহণ করে।

সংস্থার ফোকাস হল অবৈধ মাদকের পাচার ও অপব্যবহার , অপরাধ প্রতিরোধ ও ফৌজদারি বিচার , আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ এবং রাজনৈতিক দুর্নীতি । এটি জাতিসংঘ উন্নয়ন গ্রুপের সদস্য ।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি-১৯৭৪ এবং সীমান্ত চুক্তির প্রটোকল ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৭৪ সালের সীমান্ত চুক্তির অধীনে ভারত বেরুবাড়ি ইউনিয়ন নং ১২ ছিটমহল টিকিয়ে রাখে এবং বাংলাদেশ দহগ্রাম- আঙ্গোরপোতা ভারতের সাথে ১৭৮ বাই-৮৫ মিটার (৫৮৪ ফুট × ২৭৯ ফুট) করিডোর প্রদান করে, যাকে বলা হয় তিন বিঘা করিডোর। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে দ্রুত এই চুক্তি অনুমোদন করে কিন্তু ভারত তা করতে ব্যর্থ হয়। পশ্চিমবঙ্গের দাইখাতা-৫৬, ত্রিপুরার মুহুরি নদী-বেলোনিয়া এবং আসামের লতিলা-দুমাবাড়ি তিনটি সেক্টরে প্রায় ৬.১ কিলোমিটার (৩.৮ মাইল) ভূমি সীমানার বিষয়টিও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। স্থানীয়দের বিরোধী সত্ত্বেও ১৯৯২ সালে তিন বিঘা করিডোর বাংলাদেশের কাছে লিজ দেওয়া হয়।

ছিটমহলের তালিকা ১৯৯৭ সালে দুই দেশ দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। ২০০১ সালে ছিটমহলের তথ্য বিস্তারিত জানার জন্য দুটি যৌথ সীমানা ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। মে ২০০৭ সালে একটি যৌথ আদমশুমারি সম্পন্ন করা হয়। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত বাংলাদেশের সাথে ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তির জন্য অতিরিক্ত প্রোটোকল স্বাক্ষর করে। উভয় দেশ ১৬২টি ছিটমহল অদলবদল করার অভিপ্রায় ঘোষণা করে যাতে বাসিন্দাদের জাতীয়তা পছন্দ সুযোগ পায়। যা ২০১৫ সালে কার্যকর হয়।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : আলেপ্পো সিরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর এবং আলেপ্পো মুহাফাযার (সিরিয়ার প্রদেশ) রাজধানী। এটি সিরিয়র উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এবং রাজধানী দামেস্ক থেকে ৩১০ কিলোমিটার দরে অবস্থিত। আলেপ্পোর জনসংখ্যা ২১৩২০০, এটি পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যেও অন্যতম বড় শহর। শতব্দীকাল ধরে আলেপ্পো সিরিয়ার সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল এবং ইস্তানবুল ও কায়রোর পরে উসমানীয় সাম্রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ছিল।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : জাতিসংঘের গ্রুপ অফ 77 ( G77 ) হল উন্নয়নশীল দেশগুলির একটি জোট , যা এর সদস্যদের সম্মিলিত অর্থনৈতিক স্বার্থের প্রচার এবং জাতিসংঘে একটি বর্ধিত যৌথ আলোচনার ক্ষমতা তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।  জেনেভাতে সদর দফতরে সংস্থাটির 77 জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল , কিন্তু তারপর থেকে এটি 134টি সদস্য দেশে বিস্তৃত হয়েছে। উগান্ডা 2024-এর জন্য কিউবার স্থলাভিষিক্ত হয়ে চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ।

গ্রুপটি 15 জুন 1964- এ জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনে (UNCTAD) জারি করা "সাতাত্তর দেশের যৌথ ঘোষণা"-এ 77টি জোট নিরপেক্ষ দেশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। 1967 সালে আলজিয়ার্সে প্রথম বড় বৈঠক হয়েছিল , যেখানে আলজিয়ার্সের সনদ গৃহীত হয়েছিল এবং রাউল প্রিবিশের নেতৃত্বে স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভিত্তি তৈরি করা হয়েছিল, যিনি পূর্বে ECLA- তে কাজ করেছিলেন ।

বাংলাদেশ ১৯৮২-৮৩মেয়াদে জি-৭৭ এর চেয়ারম্যান ছিল ।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : টার্গেট ১.২: জাতীয় সংজ্ঞানুযায়ী চিহ্নিত যেকোন ধরনের দারিদ্র্যের মধ্যে

বসবাসকারী সকল বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুর সংখ্যা ২০৩০

সালের মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেকে নামিয়ে আনা

টার্গেট ১.১: ২০৩০ সালের মধ্যে, সর্বত্র সকল মানুষের জন্য, বর্তমানে দৈনন্দিন

মাথাপিছু আয় ১.২৫ ডলারের কম —এ সংজ্ঞানুযায়ী পরিমাপকৃত চরম

দারিদ্র্যের সম্পূর্ণ অবসান

টার্গেট ১.৩: ন্যূনতম সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধার নিশ্চয়তাসহ সকলের জন্য

জাতীয়ভাবে উপযুক্ত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপের

বাস্তবায়ন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর

একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে এ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা

টার্গেট ১.৪: ২০৩০ সালের মধ্যে সকল নারী ও পুরুষ, বিশেষ করে দরিদ্র ও

অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর অনুকূলে অর্থনৈতিক সম্পদ ও মৌলিক সেবা

সুবিধা, জমি ও অপরাপর সম্পত্তির মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উত্তরাধিকার, প্রাকৃতিক সম্পদ, লাগসই নতুন প্রযুক্তি এবং ক্ষুদ্র ঋণসহ আর্থিক সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করা

[তথ্যসূত্রঃ moa.portal.gov.bd]

ব্যাখ্যা : ২০২১ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রথমবারের মতো বিশ্বের কাছে একটি বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ প্রস্তাব করেন। তিনি  "উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া", "মানুষকে কেন্দ্র করে শাসনকাজ পরিচালনা করা" এবং "সর্বজনীন সুবিধা ও সহনশীলতার চর্চা করা" "উদ্ভাবন-চালিত ধারা মেনে চলা", "মানুষ ও প্রকৃতির সুরেলা সহাবস্থান মেনে চলা" এবং "অ্যাকশন-ওরিয়েন্টেড ধারণা মেনে চলা"-র মাধ্যমে, সকল পক্ষকে যৌথভাবে, বৈশ্বিক উন্নয়নকে ভারসাম্য, সমন্বয় ও সহনশীলতার নতুন পর্যায়ে উন্নীত করার আহ্বান জানান।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগের বন্ধু-গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে যাত্রা শুরু করে। ২০২২ সালের জুনে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বৈশ্বিক উন্নয়ন উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে সভাপতিত্ব করেন এবং যৌথভাবে একটি সর্বজনীন, ভারসাম্যপূর্ণ, সমন্বিত, সহনশীল, জয়-জয় সহযোগিতা ও অভিন্ন  সমৃদ্ধির উন্নয়ন-কাঠামো সৃষ্টির প্রস্তাব করেন। তিনি বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ঘোষণা করেন, ফলে উদ্যোগটি বাস্তব সহযোগিতার এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করে।

[তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : বাংলাদেশ ২২ জুন, ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর সদস্যপদ লাভ করে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা শ্রমিক - কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে উন্নতি ও তাদের সুযোগ - সুবিধার সমতা বিধান করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা। ভার্সাই চুক্তি অনুযায়ী ১৯১৯ সালে ১১ এপ্রিল আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : দেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় গন্তব্যস্থল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যান সৌদি আরবে। মোট নারী অভিবাসীর ৪৪ দশমিক ১৮ শতাংশের গন্তব্য হলো দেশটি। ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ যান সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। এছাড়া ওমানে যাচ্ছেন ১০ দশমিক ২২ শতাংশ, জর্ডানে ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও কাতারে যাচ্ছেন ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর বাইরেও বাহরাইন, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মরিশাস ও হংকংয়ে যাচ্ছেন কিছুসংখ্যক নারী শ্রমিক।

[তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন বণিক বার্তা]

ব্যাখ্যা : দুবাইয়ে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কনফারেন্স অব পার্টিজ বা কপ-২৮ এ একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছায়, যাতে প্রথমবারের মতো তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে সরে আসার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানানো হয়েছিলো। [তথ্যসূত্রঃ বিবিসি ]

ব্যাখ্যা : দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পিস (আইইপি) প্রকাশিত ২০২৩ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৩তম ।

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে এবার শীর্ষ স্থান দখল করেছে দক্ষিণ এশিয়ারই দেশ আফগানিস্তান। দেশটি সর্বমোট দশ পয়েন্টের মধ্যে ৮.৮২২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তালিকার শীর্ষে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বুরকিনা ফাসো, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে সোমালিয়া, মালি ও সিরিয়া।

[তথ্যসূত্রঃ বাসস ওয়েবসাইট]

ব্যাখ্যা : ১৬৩ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭ তম ।

সোর্সঃ Sustainable Development Solution Network- 2024

ব্যাখ্যা : উদারতাবাদ হলো এমন একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতবাদ, যা মূলত একজন ব্যক্তির স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্য, বৈষম্যহীনতা,

সমান অধিকার এবং ব্যক্তি বিশেষের অধিকার, সর্বোপরি জীবন, স্বাধীনতা, সম্পত্তির ইত্যাদি রক্ষা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। অবস্থার প্রেক্ষিতে এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও প্রয়োগ করা হয়।

ব্যাখ্যা : দুবাইয়ে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কনফারেন্স অব পার্টিজ বা কপ-২৮ এ একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছায়, যাতে প্রথমবারের মতো তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালা২২)

পাহাড়পুরের 'সোমপুর মহাবিহার' বাংলার কোন শাসন আমলের স্থাপত্য কীর্তির নিদর্শন?

ব্যাখ্যা : সোমপুর মহাবিহার পাল শাসনামলের নিদর্শন। এটি একটি বৌদ্ধবিহার। পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব অষ্টম/নবম শতকে এই বিহার তৈরি করেন।নওগাঁ জেলার সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর বিহার।এটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার নেতৃত্ব দেন মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।তৎকালীন মেহেরপুরের পুলিশ অফিসার মাহবুবুর রহমানের (এসপি মাহবুব) নেতৃত্বে পিসি ইয়াদ আলী, আনসার সদস্য আজিমুদ্দিন শেখ, সিরাজুল ইসলাম, অস্থির মল্লিক, হামিদুল ইসলাম, সাহেব আলী, লিয়াকত আলী, নজরুল ইসলাম, ফকির মোহাম্মদ, মহিউদ্দিন, কেসমত আলী ও মফিজ উদ্দিন অস্থায়ী সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলায়।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি পেশ করেন। ৬ দফার ২য় দফাতে বলা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা দুটি ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে। ক্ষমতা দুটি হচ্ছে দেশ রক্ষা ও বৈদেশিক নীতি।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এই হরিকেল জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

কুমিল্লাও নোয়াখালী- সমতট অঞ্চল

ঢাকা ও ময়মনসিংহ-বংগ

রাজশাহী ,রংপুর- বরেন্দ্র [তথ্যসুত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে (২,১৫৬ জন) এবং সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে (৬৮৮ জন)। [তথ্যসুত্রঃ বাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ ]

ব্যাখ্যা : Trading Corporation of Bangladesh বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত একটি শাখা ১৯৭২ সালে খাদ্য ও সংস্থার ঘাটতি মেটাতে TCB প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীন আরো কিছু সংস্থাঃবাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন,রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো,ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ,জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর,আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর,বাংলাদেশ চা বোর্ড [তথ্যসুত্রঃ সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট]

ব্যাখ্যা : বাংলাদেশ সরকার মূল্য সংযোজন কর থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এ খাত থেকে বাংলাদেশ ৮৩ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে যা অন্যান্য রাজস্ব খাত থেকে সবচেয়ে বেশি। [তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান ৩টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমাজের বর্ষ বরণ উৎসব। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি। এই উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব, বৈসু বা বাইসু , মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত।তথ্যসুত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : মাহমুদুল্লাহ বিশ্বকাপ এ করেছেন ৩২৮ রান । তার ব্যাটিং গড় ছিল ৫৪.৬৬। তিনি একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। উল্লেখ্যঃ বিশ্বকাপ ২০২৩: সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ; 1. Virat Kohli. IND ; 2. Rohit Sharma. IND ; 3. Quinton de Kock. SA ; [তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : ময়মনসিংহের গারো এবং সিলেটের খাসিয়া উপজাতি তেমন এক ক্ষুদ্র জাতিসত্তা যারা এখনও মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে বসবাস করে দীর্ঘকালের পুরনো ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : সংবিধানের -চতুর্থ ভাগ

(নির্বাহী বিভাগ )এর ৬৪। (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ীঃ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক হইবার যোগ্য কোন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি-জেনারেল পদে নিয়োগদান করিবেন। বাংলাদেশের বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি ১৬তম অ্যাটর্নি জেনারেল।

ব্যাখ্যা : হালদা বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী, যেখান থেকে রুইজাতীয় মাছের (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ) নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। পৃথিবীর আর কোনো জোয়ার-ভাটার নদী থেকে রুইজাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা যায় না। বাংলাদেশে মৎস্য প্রজননক্ষেত্র অনেকগুলো আছে, কিন্তু মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয় এমন নদী একটিও নেই।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এ ৬টি ভৌগোলিক হটস্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। হটস্পট গুলো হলো:

(i) নদী ও মোহনা অঞ্চল

(ii) উপকূলীয় অঞ্চল

(iii) বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল

(iv) হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চল

(v) নগর অঞ্চল এবং

(vi) পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির মোট সদস্য ছিলেন ৩৪জন এই কমিটিপ্রধান ছিলেন ড কামাল হোসেন।এই কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য ছিলেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত (ন্যাপ, মোজাফ্ফর) এবং একমাত্র নারী সদস্য ছিলেন রাজিয়া বানু। তিনি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নাতনী ছিলেন। [তথ্যসুত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : ২০১৬ সালে নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে গ্লোবাল পার্টনারশিপস ফোরাম-এর পক্ষ থেকে ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ এবং জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন-উইম্যান-এর পক্ষ থেকে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কার প্রদান করা হয়।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয় যার নাম দেওয়া হয় ভিশন-২০৪১ ভিশন।রূপকল্প ২০৪১ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত এবং জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থানকে আরো দৃঢ় করে গড়ে তোলার জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা। রূপকল্প-২০৪১ চারটি প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভ যথা—সুশাসন, গণতন্ত্র, বিকেন্দ্রীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর প্রতিষ্ঠিত।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ফ্রান্স বাংলাদেশ থেকে ২৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনেছে। এটি দেশের মোট বার্ষিক ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের ৫২ শতাংশেরও বেশি। তথ্য অনুসারে, রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : জিণ্জিরাম নদীটি গারো পাহাড়ের দীর্ঘতম নদী। এটি আসামের গোয়াল-পাড়া ও দক্ষিণ সালমারা জেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফুলবাড়ি ও হলদিয়াগঞ্জ দিয়ে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতে পতিত হয়েছে।

জিঞ্জিরাম নদী: কুড়িগ্রাম জেলায় অবস্থিত, এই নদীটি একসময় মরা ছিল কিন্তু পরবর্তীতে খনন করে পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে।

ব্যাখ্যা : মুজিব: একটি জাতির রূপকার ২০২৩ সালের মহাকাব্যিক জীবনীসংক্রান্ত চলচ্চিত্র যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নাট্যরূপে প্রদর্শিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন শ্যাম বেনেগাল। চলচ্চিত্রটিতে আরিফিন শুভ বঙ্গবন্ধুর নাম চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথমবারের মতো বাংলা ভাষায় ভাষণ দান করেন।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুইবারের উপাচার্য (২০১৩-২০২১)। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সিলেকশন গ্রেডের একজন অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্যহিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তার গবেষণা-গ্রন্থের মধ্যে The Foreshadowing of Bangladesh 1906-1947 , Inside Bengal Politics 1936-1947 : Unpublished Correspondence of Partition Leaders উল্লেখযোগ্য।

ব্যাখ্যা : . সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।তাজউদ্দিন আহমেদ ছিলেন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী । ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার অবর্তমানে রাষ্ট্রপতি এবং সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক করে সরকার গঠন করা হয়। ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ছিলেন মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী । [তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ। মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৫ লাখ ১ হাজার ৫৮৫ জন। তাদের মধ্যে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪৫ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী(বিচারক-নিয়োগ ) প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করিবেন।

অন্যান্য অনুচ্ছেদ

৯৬- বিচারকদের পদের মেয়াদ

৯৭-অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ

৯৮ -সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারকগণ

ব্যাখ্যা : ১৯৫৪ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭ টি মুসলিম ( মোট আসন ছিল ৩০৯ টি) আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে জয়লাভ করেছিল।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানিতে সৌদি আরবের পরই এখন মালয়েশিয়ার অবস্থান।জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বিশ্বের ১৩৭টি দেশে বাংলাদেশের ১৪ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে।

[তথ্যসুত্রঃ অর্থনৈতিক সমীক্ষা - ২০২৪]

ব্যাখ্যা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজ, নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য পাঁচ নারীকে বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ প্রদান করেছেন।বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ প্রাপ্তরা হলেন: খালেদা একরাম (মরণোত্তর), ডাঃ হালিদা হানুম আক্তার, কামরুন্নেসা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), রণিতা বালা এবং নিশাত মজুমদার।মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ বিতরণের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফরে প্রথম টেস্ট জয়ের পাশাপাশি প্রথমবারের মত ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে বাংলাদেশ প্রথম জয় পায় : কেনিয়ার বিরুদ্ধে (১৯৯৮)।[তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : হিলি স্থল বন্দরটি বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থল বন্দর এবং ভারতের সাথে বাণিজ্যের একটি প্রধান দ্বার।

ব্যাখ্যা : সুনামি শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ হারবার ওয়েভ বা পোতাশ্রয়ের ঢেউ। এটি আসলে বিশাল আকারের শক্তিশালী জলোচ্ছ্বাস।

সমুদ্রতল বা তীরবর্তী মাটির গভীরে ভূমিকম্প অথবা টেকটনিক প্লেটের আকস্মিক উত্থানপতনের ফলে সমুদ্রের পানিতে কম্পনের তৈরি হয়, ফলে সেখানে বিশাল আকারে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়।

[তথ্যসূত্রঃ বিবিসি ]

ব্যাখ্যা : - জিভের উচ্চতা অনুসারে স্বরধ্বনিগুলোকে (ক) উচ্চ (high), (খ) নিম্ন (low), (গ) উচ্চ-মধ্য(high-mid) ও (ঘ) নিম্ন-মধ্য(low-mid) স্বরধ্বনি হিসেবে হিসেবে নির্দেশ করা হয়।

ক) উচ্চ-স্বরধ্বনি: এগুলোর উচ্চারণের সময় জিভ সবচেয়ে উপরে ওঠে। যেমন- ই, উ।

খ) নিম্ন-স্বরধ্বনি: জিভ সবচেয়ে নিচে অবস্থান করে এসব স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয়। আ, এ, এ-শ্রেণির ধ্বনির দৃষ্টান্ত।

গ) উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি: এজাতীয় স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ নিম্ন-স্বরধ্বনির তুলনায় উপরে এবং উচ্চ-স্বরধ্বনির তুলনায় নিচে থাকে। যেমন- এ, ও।

ঘ) নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি: এসব স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনির তুলনায় নিচে এবং নিম্ন-স্বরধ্বনি থেকে উপরে ওঠে। যেমন- অ্যা, ও।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ড. সৌমিত্র শেখর ]

ব্যাখ্যা : বাংলা ভাষাভাষীদের ভূখণ্ডে অনেক আদিকাল থেকে যারা বাস করতো সেইসব আদিবাসীদের ভাষার/অনার্য জাতির যে সকল শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সে সব শব্দকে বলা হয় দেশি শব্দ। এই আদিবাসীদের মধ্যে আছে - কোল, মুণ্ডা, ভীম, ইত্যাদি। দেশী শব্দের উদাহরণ কুড়ি (বিশ) - কোলভাষা, পেট (উদর) - তামিল ভাষা, চুলা (উনুন) - মুণ্ডারী ভাষা।

[তথ্যসূত্রঃ মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ নবম- দশম শ্রেণী]

ব্যাখ্যা : সাহিত্য ও সংস্কৃতি, 'ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব- আবদুল হাই,

ভাষার ইতিবৃত্ত- সুকুমার সেন,

মনীষা মঞ্জুসা- এনামুল হক,

বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত- ড. শহীদুল্লাহ

[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর]

ব্যাখ্যা : - বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক দুটো বর্ণ রয়েছে। ঐ এবং ঔ।

উদাহরণ : কৈ, বৌ।

- বাংলা ভাষায় ২৫টি যৌগিক স্বরধ্বনি রয়েছে।

[তথ্যসূত্রঃ মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ নবম- দশম শ্রেণী]

ব্যাখ্যা : - সমাসনিম্পন্ন যে সকল শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অনুগামী না হয়ে কোনাে বিশিষ্ট অর্থ গ্রহণকরে, তাদের যােগরূঢ় শব্দ বলে।

যেমন - পঙ্কজ, রাজপুত, মহাযাত্রা, জলধি ইত্যাদি।

- শুদ্ধ বাংলা ভাষায় শাখা মৃগ বানরকে বলে ,শাখা মানে গাছ এবং মৃগ মানে হরিন অর্থাৎ গাছের হরিন।

- শাখামৃগ একটি যোগরুঢ় শব্দ।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ড. সৌমিত্র শেখর ]

ব্যাখ্যা : উপসর্গ হলো সেই শব্দাংশ যা শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে। দ্রোহী একটি শব্দ যার অর্থ অনিষ্টাচারী। এর পূর্বে ‘বি’ উপসর্গ বসে গঠিত হয়েছে বিদ্রোহী শব্দটি।

ব্যাখ্যা : বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদেরকে বিভক্তি বলে। বাংলা শব্দ বিভক্তিগুলো হলো: শূন্য (০) বিভক্তি, এ, তে, কে, রে, র। সরোবরে শব্দটিতে ‘এ’ বিভক্তি যুক্ত থাকায় এটিই বিভক্তিযুক্ত শব্দ। [তথ্যসুত্রঃ বাংলা ভাষার ব্যকরণ ৯ম ১০ম শ্রেণী]

ব্যাখ্যা : ক্রিয়ামূল বা নাম প্রকৃতির পরে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় সাধারণত ধাতু বা শব্দের শেষে যুক্ত হয়। যেমন: √ডুব + অন্ত = ডুবন্ত, মনু + ষ্ণ = মানব, এক + ইক = ঐকিক ইত্যাদি। [তথ্যসুত্রঃ বাংলা ভাষার ব্যকরণ ৯ম ১০ম শ্রেণী]

ব্যাখ্যা : বিসর্গের পরে তালব্য অঘোষ ধ্বনি (চ, ছ) থাকলে বিসর্গের জায়গায় তালব্য শিশ (শ) হয়।

শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ।

নিঃ + ছিদ্র = নিশ্ছিদ্র।

নিঃ + চয় = নিশ্চয়।

শিরঃ + চূড়ামণি = শিরচূড়ামণি।

নিঃ + চিন্ত = নিশ্চিন্ত।

দুঃ + ছেদ্য = দুশ্ছেদ্য।

[তথ্যসূত্রঃ মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ নবম- দশম শ্রেণী]

ব্যাখ্যা : কৃদন্ত পদের সাথে উপপদের যে সমাস হয় তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: পঙ্কে জন্মে যা = পঙ্কজ, অগ্রে গমন করে যে = অগ্রগামী, নীল সংক্রান্ত কর আদায় করে যে = নীলকর। [তথ্যসুত্রঃ বাংলা ভাষার ব্যকরণ ৯ম ১০ম শ্রেণী]

ব্যাখ্যা : pedagogy- পারিভাষিক অর্থ শিক্ষা সম্পকিত বিদ্যা , শিক্ষানীতি।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ড. সৌমিত্র শেখর ]

ব্যাখ্যা : ’বঙ্কিম’ শব্দর অর্থ-বাঁকা।

'বঙ্কিম'-এর বিপরীতার্থক শব্দ- ঋজু।

[তথ্যসূত্রঃ মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ নবম- দশম শ্রেণী]

ব্যাখ্যা : বাংলা অ্যাকাডেমি ১৯৯২ সালে প্রমিত বানানের নিয়ম প্রণয়ন করে।

১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম প্রণয়ন করে এবং সব প্রতিষ্ঠানকে এই নিয়ম অনুসরণের আহ্বান জানায়। তখন থেকে বাংলা বানানে আরো শৃঙ্খলা আনার প্রচেষ্টা শুরু হয়।

[তথ্যসূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকা ]

ব্যাখ্যা : মুলা বানানটি শদ্ধ।[তথ্যসূত্রঃ মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ নবম- দশম শ্রেণী]

ব্যাখ্যা : নদী শব্দের সমার্থক শব্দ - তটিনী, তরঙ্গিনী, দরিয়া, প্রবাহিণী, সরিৎ প্রভৃতি। [তথ্যসূত্রঃ মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ নবম- দশম শ্রেণী]

ব্যাখ্যা : চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতর রচনা এটি। খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতে চর্যার কোনো কোনো পদকর্তার আবির্ভাবকাল সপ্তম অথবা অষ্টম শতক। চর্যাকাররা সহজযান ধর্মমতে দীক্ষিত ও সিদ্ধাচার্য নামে পরিচিত ছিলেন।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : রামাই পণ্ডিত রচিত ৫১ টি অধ্যায় সম্বলিত সংস্কৃত ভাষায় গদ্য পদ্য মিশ্রিত চম্পুকাব্য ‘শূন্যপুরাণ’। ধর্মপূজার শাস্ত্রগ্রন্থ শূন্যপুরান। শূন্যপুরান ধর্মীয় তত্ত্বের গ্রন্থ গদ্যপদ্য মিশ্রিত চম্পুকাব্য। এ গ্রন্থে বৌদ্ধদের শূন্যপদ ও হিন্দুদের লৌকিক ধর্মের মিশ্রণ ঘটেছে। এতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কর্তৃক সধর্মীদের ওপর বৈদিক ব্রাহ্মণ্য শাসনের বদলে মুসলিম শাসন প্রচলনের পক্ষে মনোভাব ব্যক্ত হয়েছে।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ড. সৌমিত্র শেখর ]

ব্যাখ্যা : ১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রাম থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুঁথি আবিষ্কার করেন। এটি পাওয়া যায় দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘরের মাচার ওপর থেকে। পুঁথিটির সঙ্গে প্রাপ্ত চিরকুট থেকে জানা যায়, আড়াই শ বছর আগে বিষ্ণুপুরের রাজগ্রন্থশালায় এটি রাখা ছিল। এর প্রথম দুটি পাতা, মাঝের কয়েকটি ও শেষ পাতাগুলো পাওয়া যায়নি।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ড. সৌমিত্র শেখর ]

ব্যাখ্যা : যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।'

কবিতাংশটি আবদুল হাকিমের ‘নূরনামা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার। মধ্যযুগে বাঙালি মুসলমানগণ মাতৃভাষা বাংলাকে নিজেদের মনে না করে ফারসি - আরবি - উর্দুকে আপন ভাষা মনে করতো। এই ধরনের পরভাষা প্রীতিকে আঘাত করার জন্য কবি এ ধরনের পঙক্তি রচনা করেন।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ড. সৌমিত্র শেখর ]

ব্যাখ্যা : • আলাওল সতেরো শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।।

• আনুমানিক ১৬০৭ খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুর জেলার ফতেয়াবাদ পরগনার জালালপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

• আলাওল "আরাকান" বা "রোসাঙ্গ" রাজসভার কবি ছিলেন ।

• আরাকানকে বাংলা সাহিত্যে "রোসাং" বা "রোসাঙ্গ" নামে অভিহিত করা হয়েছে।

• আলাওল রচিত প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য "পদ্মাবতী"।

⮞মহাকবি আলাওল

তাঁর সৃষ্টিকর্মঃ পদ্মাবতী, সতীময়না লোরচন্দ্রানীর উত্তরাংশ, সপ্ত পয়কর, সয়ফুলমুলুক-বদিউজ্জামাল, সিকান্দরনামা, তোহফা, রাগতালনামা

[তথ্যসুত্রঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর]

ব্যাখ্যা : বাংলাদেশের ৪টি অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে। যথা - বাউল সংগীত, জামদানি, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ও শীতলপাটির বয়ন পদ্ধতি। এরমধ্যে বাউল সংগীতকে UNESCO মানবতার ধারক (Heritage of Humanity) হিসেবে আখ্যা দেয়। [সোর্সঃ প্রথম আলো]

ব্যাখ্যা : উত্তরঃ চণ্ডীচরণ মুনশী

- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাঙালা ভাষার শিক্ষক ছিলেন চণ্ডীচরণ মুনশী।

- তোতা ইতিহাস বাংলা ভাষায় রচিত একটি গল্পগ্রন্থ যা প্রকৃতপক্ষে কাদির বখশ রচিত ফার্সি গল্পগ্রন্থ তুতিনামা-এর বঙ্গানুবাদ।

- ১৮০৪ খ্রিষ্টাব্দে তোতা ইতিহাস অনুবাদ কর্ম সম্পাদন করেন।

- গ্রন্থটি এ কলেজের বাঙালা শিক্ষাক্রমে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

এছাড়া,

- এ কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রামরাম বসু, উইলিয়াম কেরি, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার।

- রামরাম বসু রচিত দুটি গ্রন্থ: রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র', 'লিপিমালা'।

- উইলিয়াম কেরি রচিত দুটি গ্রন্থ 'কথোপকথন' ও 'ইতিহাসমালা'।

- মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: 'বত্রিশ সিংহাসন', 'হিতোপদেশ', 'রাজাবলি'।

[তথ্যসূত্র - বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, সৌমিত্র শেখর]

ব্যাখ্যা : বিদ্যাসাগর রচিত গ্রন্থাবলির মধ্যে অন্যতম রত্নপরীক্ষা (১৮৮৬)। এটি তার মৌলিক রচনা।

তার মৌলিক গ্রন্থঃ

- সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব (১৮৫৩)

- বিধবা বিবাহ চলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব (১৮৫৫)

- বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব (১৮৭১)

- অতি অল্প হইল (১৮৭৩)

- আবার অতি অল্প হইল (১৮৭৩)

- ব্রজবিলাস (১৮৮৪)

- রত্নপরীক্ষা (১৮৮৬)

- প্রভাবতী সম্ভাষণ (সম্ববত ১৮৬৩)

- জীবন-চরিত (১৮৯১ ; মরণোত্তর প্রকাশিত)

- শব্দমঞ্জরী (১৮৬৪)

- নিষ্কৃতি লাভের প্রয়াস (১৮৮৮)

- ভূগোল খগোল বর্ণনম্ (১৮৯১ ; মরণোত্তর প্রকাশিত)।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : দেবী, স্বর্ণকুমারী (১৮৫৫-১৯৩২) কবি, নাট্যকার, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। তিনি জোড়াসাকোঁর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্বর্ণকুমারী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর দশম সন্তান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ভগ্নী।

তাঁর রচনাবলির মধ্যে রয়েছেঃ ছিন্ন মুকুল, স্নেহলতা বা পালিতা (১৮৯২-৩) এবং কাহাকে (১৮৯৮)। কাহাকে (১৮৯৮) গ্রন্থটি The Unfinished Song নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়।

[তথ্যসূত্রঃবাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : "কমলাকান্তের দপ্তর" বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি ব্যঙ্গাত্মক ও রসাত্মক প্রবন্ধ। ভীষ্মদেব খোশনবীশ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কমলাকান্তের দপ্তর গ্রন্থের চরিত্র।

এছাড়াও,

কপালকুন্ডলা উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কপালকুন্ডলা, নবকুমার, কাপালিক ইত্যাদি।

আনন্দমঠের অন্যতম প্রধান চরিত্র গুলি হলো - সত্যানন্দ, ভবানন্দ, জীবনানন্দ, মহেন্দ্র, কল্যানী এবং শান্তি।

বিষবৃক্ষ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কুন্দনন্দিনী , নগেন্দ্রনাথ, হীরা , সূর্যমুখী।

[তথ্যসূত্র - বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, সৌমিত্র শেখর]

ব্যাখ্যা : নীলদর্পণ নাটকটি লিখেন দীনবন্ধু মিত্র।নাটকটি ১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের মেহেরপুর অঞ্চলের নীলকরদের অত্যাচার ও নীলচাষীদের দুঃখ - কষ্ট নিয়ে রচিত হয়েছে । এই নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ড. সৌমিত্র শেখর ]

ব্যাখ্যা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “রক্তকরবী” নাটকের চরিত্র রঞ্জন , নন্দিনী।

রক্তকরবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক। নাটকটি বাংলা ১৩৩০ সনের শিলং-এর শৈলবাসে রচিত। তখন এর নামকরণ হয়েছিল যক্ষপুরী। ১৩৩১ সনের আশ্বিন মাসে যখন প্রবাসীতে প্রকাশিত হয় তখন এর নাম হয় রক্তকরবী। মানুষের অসীম লোভ কীভাবে জীবনের সব সৌন্দর্য ও স্বাভাবিকতাকে অস্বীকার করে মানুষকে নিছক যন্ত্র ও উৎপাদনের প্রয়োজনীয় উপকরণে পরিণত করেছে এবং এর ফলে তার বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ কীরূপ ধারণ করেছে এরই প্রতিফলন ঘটেছে এ নাটকটিতে।

[তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন ‘চর্যাপদ’ এর আবিষ্কারক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। তিনি সংস্কৃত কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি একজন ঔপন্যাসিক, পুঁথি সংগ্রাহক, সংস্কৃত বিশারদ। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলির মধ্যে অন্যতম হলো বাল্মীকির জয়, বেনের মেয়ে, তৈল কাঞ্চনমালা ইত্যাদি।[তথ্যসুত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম এলিয়টের কাব্যের অনুবাদ করেন বিষ্ণু দে। তিনি ‘মহাকাল’ ও ‘কল্লোল’ পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। ‘উর্বশী ও আর্টেমিস’ তার প্রথম কাব্যগ্রন্হ। এছাড়াও পূর্বলেখ, আবিষ্ট, নাম রেখেছি কোমল গান্ধার, আলেখ্য ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্য কর্ম।[তথ্যসুত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানটি বাঙালি মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় ও আনন্দের উৎসব ঈদুল ফিতর নিয়ে বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কালজয়ী গান। কাজী নজরুল ইসলামের শিষ্য শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমেদের অনুরোধে ১৯৩১ সালে গানটি রচনা ও সুরারোপ করেন। গানটি প্রকাশিত হয় ১৯৩২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : নাগরিক কবি খ্যাত আধুনিক কবি শাসসুর রাহমান মূলত কাব্যের জন্য প্রসিদ্ধ হলেও তিনি চারটি উপন্যাস রচনা করেন। তাঁর রচিত উপন্যাস চারটি হলো অক্টোপাস, অদ্ভূত আধার এক, এলো সে অবেলায় এবং নিয়ত মন্তাজ। [তথ্যসুত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : সেলিম আল দীনের প্রকৃত নাম মঈনউদ্দিন আহমদ। তাঁকে নাট্যাচার্য বলা হয়। তিনি তাঁর নাটকে ‘দ্বৈতাদ্বৈতবাদ’শিল্পতত্ত্ব অনুসরণ করতেন। পাশ্বাত্য শিল্পের সব বিভাজনকে বাঙালির সহস্র বছরের নন্দনতত্ত্বের আলোকে অস্বীকার করে এক নবতব শিল্পরীতি প্রবর্তন করেন সেলিম আল দীন। যার নাম দেন ‘দ্বৈতাদ্বৈত বাদী শিল্পতত্ত্ব’। দ্বৈতাদ্বৈতবাদী রীতিতে লেখা তার নাটকগুলোতে নিচুতলার মানুষের সামাজিক নৃতাত্ত্বিক পটে তাদের বহুস্তরিক বাস্তবতা উঠে আসে। [তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : আবুল হাসান একজন ষাটের দশকের আধুনিক কবি। তাঁর প্রকৃত নাম আবুল হোসেন মিয়া তাঁর বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম গুলোর মধ্যে পৃথক পালঙ্ক, রাজা যায় রাজা আসে, আমার প্রেম আমার প্রতিনিধি, যে তুমি হরণ করো ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।[তথ্যসুত্রঃ বাংলাপিডিয়া]

ব্যাখ্যা : শহীদুল জহির বাংলা সাহিত্যে পরাবাস্তবতা ও জাদু বাস্তববস্তার প্রথম সফল আটিস্ট। তার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ শহীদুল হক। তিনি অমর কিছু সাহিত্যকর্ম রেখে গেছেন। জয়েসের যেমন ছিল ডাবলিন, শহীদুল জহিরের ঠিক তেমনিই নারিন্দা ভুতের গলি। তার অন্যতম উপন্যাসগুলো হলো জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, সে রাতে পূর্ণিমা ছিল, মুখের দিকে দেখি ইত্যাদি।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে চট্টগ্রামে আবুল ফজলের ভূমিকাও ছিল অগ্রগণ্য। ভাষা আন্দোলন নিয়ে তার বিখ্যাত উক্তি 'একুশ মানে মাথা নত না করা' তো চিরকালই প্রেরণা জুগিয়েছে বাঙালিকে।তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধগুলোর মধ্যে বিচিত্র কথা, বিদ্রোহী কবি নজরুল, মানবতন্ত্র রবীন্দ্র প্রসঙ্গ, একুশ মানে মাথা নত না করা, শেখ মুজিব: তাঁকে যেমন দেখিছি ইত্যাদি অন্যতম।[তথ্যসুত্রঃ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা]

ব্যাখ্যা : Sand শব্দটি noun (the loose granular material) ও verb (the action of applying sand) হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

Sugar শব্দটি noun.( a sweet, crystalline substance) ও verb (to add sugar to something; to cover something in sugar ) হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

সঠিক উত্তর ২ টি

ব্যাখ্যা : in this sentence3, "like" is used as a preposition to compare the manner of climbing

ব্যাখ্যা : এই বাক্যে "following" শব্দটি preposition হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি “incident(Noun)” কে "died(verb)" এর সাথে সংযুক্ত করে. [তথ্যসুত্রঃন Master english]

ব্যাখ্যা : এখানে Writing a diary বাক্যটিতে সাবজেক্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে noun এর কাজ করছে। সুতরাং এটি noun phrase। (shortcut: Writing a diary এর পরিবর্তে It বসানো যায়) [তথ্যসুত্রঃন Master english]

ব্যাখ্যা : সঠিক উত্তর হবে- Having been injured/ being injured he lay on the ground groaning. যখন কোনো modifier সঠিক subject কে modify না করে অন্য কোনো কিছুকে modifyকরে তখন তাকে Dangling Modifier/ Illogical Modifier/ Misplaced Modifier বলে। প্রশ্নে Dangling modifier এর ক্ষেত্রে সাধারণত simple sentence এর দুইটি অংশ থাকে যা কমা (,) দ্বারা আলাদা করা থাকে।

ব্যাখ্যা : By and large একটি phrase যা সম্পূর্ণ (whole/completely) অর্থ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। [তথ্যসুত্রঃন Master english]